বিএনপির লোহাগড়া উপজেলা শাখার দলীয় প্যাড ব্যবহার করে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিএনপির স্থানীয় দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহাদুজ্জামান বাটু ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিম স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহাদুজ্জামান বাটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে , সম্প্রতি লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মুন্সী খায়রুজ্জামান ওরফে আলম মুন্সী ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম রঞ্জু বিশ্বাস যথাক্রমে যুবলীগ নেতা ও সাবেক পৌর কমিশনার মো. আনিচুর রহমান এবং লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিনের পক্ষে দলীয় প্যাডে প্রত্যয়নপত্র ইস্যু করেন।
শনিবার (১৩ জুলাই) বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপরই দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় উপজেলা বিএনপি।
মুন্সী খায়রুজ্জামান ওরফে আলম মুন্সীকে দেওয়া নোটিশে বলা হয়, “জনাব গত ১৩/৭/২০২৫ তারিখে স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর হয় যে, নাশকতা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা এবং বর্তমানে ৮ নং দিঘলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিনকে আপনি দলীয় প্যাডে একটি প্রত্যায়নপত্র দিয়েছেন। যাহা আমাদের দলের নিয়ম পরিপন্থি। এ বিষয়ে কেন আপনার বিরুদ্ধে দলীয় আইনগত ব্যবস্থা হবে না মর্মে তিন (০৩) কার্যদিবসের মধ্যে আপনার লিখিত জবাব অত্র দপ্তরে প্রেরণ করার জন্য বলা হইল।”
মঞ্জুরুল ইসলাম রঞ্জুকে দেওয়া নোটিশে বলা হয়, “জনাব গত ১৩/৭/২০২৫ তারিখে স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর হয় যে, নাশকতা মামলার আসামি যুবলীগ নেতা ও সাবেক লোহাগড়া পৌর কমিশনার মো. আনিচুর রহমানকে আপনি দলীয় প্যাডে একটি প্রত্যায়নপত্র দিয়েছেন। যাহা আমাদের দলের নিয়ম পরিপন্থি। এ বিষয়ে কেন আপনার বিরুদ্ধে দলীয় আইনগত ব্যবস্থা হবে না মর্মে তিন (০৩) কার্যদিবসের মধ্যে আপনার লিখিত জবাব অত্র দপ্তরে প্রেরণ করার জন্য বলা হইল।”