সারা বাংলা

মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলায় ১০ আসামির যাবজ্জীবন

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আবুল কাশেম হত্যা মামলায় ১০ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ড. মো. আলমগীর মামলার রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আলী হায়দার।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- গজারিয়া উপজেলার চর বাউসিয়া গ্রামের মো. নাছির উল্লাহ ওরফে নাছির, নুরু মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন, হেলাল উদ্দিনের ছেলে রিপন, মৃত মনু মিয়ার ছেলে আ. রাজ্জাক ওরফে কানা রাজ্জাক, মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে আক্কাস আলী, সিরাজ মেম্বারের ছেলে রিপন, আলেক জানের ছেলে শাহ আলম, মো. খোরশেদের ছেলে শফিক, হক মিয়ার ছেলে শফিকুল ওরফে শফিক ও হবি। 

রায় ঘোষণার সময় সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত। এ মামলার পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ৭ জুন রাতে গজারিয়া উপজেলার চর বাউসিয়া গ্রামের শান্তি বেগমসহ আরো লোকজন মামলার বাদীর বাড়িতে যান। তারা বাদীকে জানান, বাউসিয়া গ্রামের জজ মিয়ার বাড়ির উত্তর পাশের ধান ক্ষেতে আবুল কাশেমের লাশ পরে আছে। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, আবুল কাশেমের মাথার বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কাটা জখম আছে। নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে। 

এ ঘটনায় বাদী শান্তি বেগম, জজ মিয়া ও জয়নালকে আসামি করে ঘটনার পরের দিন গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে সন্দেহজনক হিসেবে পুলিশ মোশারফ, আ. রাজ্জাক, শাহ আলম ও সফিকুলকে গ্রেপ্তার করে। তারা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। আসামিদের জবানবন্দির উপর ভিত্তি করে পুলিশ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করে। 

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরিফ হোসেন বলেন, “আবুল কাশেম হত্যা মামলার বিচারকার্য ২৩ বছর পর সম্পন্ন হলো। আদালত ১৫ জন আসামির মধ্যে ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আদালতের রায়ে আমরা খুশি।”