সারা বাংলা

ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি রক্ত দিতে হয়েছে ইসলামপন্থিদের 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‍“২০০৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেন। মানুষের কণ্ঠে শোনা যায় হাহাকার। গুম, খুনের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় বাংলাদেশ।” 

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। বিভিন্ন দেশে বেগম পাড়া গড়ে তোলা হয়। এই দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের চাকা তুলে দেওয়া হয় অন্য দেশের হাতে।” 

শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল মজিদ বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, “আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দুঃশাসন আমলে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে বহুদল ও বহুমতের মানুষ প্রতিবাদ করেছেন। সবচেয়ে বেশি রক্ত দিতে হয়েছে ইসলামপন্থিদের। ২০১৩ সালের ৫ এবং ৬ মে শাপলা চত্বর এ দেশের আলেম সমাজের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল।” 

তিনি বলেন, “২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের নামে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আনা হয়। বাংলাদেশকে একটি ভারতীয় অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার নীল নকশা করা হয়। এর প্রতিবাদ করতে গেলে সেদিন আমাদের প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মীকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়। গণআন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতের মাটিতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।” 

তিনি বলেন, “যদি কোনো দল, সংগঠন বা পক্ষ রাজনৈতিক বিরোধিতার সুযোগ নিয়ে ফ্যাসিবাদের অপশক্তিকে বাংলাদেশে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালায়, তাহলে গোটা জাতিকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।” 

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি শরাফত হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা রেজাউল করিমসহ অন্যরা।