নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘‘পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চল দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তিতে পরিণত হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘দেশে যখন নতুন একটি পোর্ট গড়া বা চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে আরেকটি পোর্ট তৈরির কথা বলা হয়, তখন বলা হয় দেশ চলে গেল। আবার চট্টগ্রাম বন্দরে যদি কোনো অপারেটর নিয়োগের কথাও উঠে, তখনো বলা হয় দেশ চলে গেল। বিষয়টি এমন, যেন চিলে কান নিয়ে গেছে আর সবাই দৌড়াচ্ছে।’’
রবিবার (২০ জুলাই) পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর শহরের একটি অভিজাত হোটেলে পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান সম্পর্কিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে ওই হোটেলের অন্য একটি কনফারেন্স কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সেখানে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘‘একটি বন্দরের জন্য ১০ বছর কিছুই না। ২০ বা ২৫ বছর হলে বলা যাবে, এটার কাজ শুরু হয়েছে। আমি মনে করি, একটি পোর্টের নিজস্ব ড্রেজার থাকা দরকার। বাংলাদেশে এমন কোনো পোর্ট নেই যেখানে ড্রেজিং না হয়। আশা করছি, আগামী দুই-এক মাসের মধ্যে পায়রা বন্দরের ড্রেজার এবং ড্রেজিংয়ের সেকশন করাতে পারব।’’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল, মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের বুয়েটের টিম লিডার অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ, প্রকল্পের নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল হাসকোনিং, ডিএইচভির টিম লিডার মেনো মুইজ ও পায়রা বন্দরের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কমডোর মোহাম্মদ আবদুল কাদের।