সারা বাংলা

ফেনীতে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে পদযাত্রা 

ফেনীতে টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণসহ আট দফা দাবিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেছে সর্বস্তরের মানুষ। আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণে আশ্বাস না মিললে ফেনীর মহিপাল পয়েন্টে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।

বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরের ট্রাংক রোড ও শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহিপাল পাউবো কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

আয়োজকদের পক্ষে বক্তারা বলেন, ‘‘বর্ষা এলেই প্রতি বছর এই অঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। হাজার কোটি টাকার ফসল ও সম্পদের ক্ষতি হয়। দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ টেকসই ব্যবস্থা নেয়নি।’’ এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা জানান, জনগণের দাবিতে এবার ছাত্র-জনতা ও প্রবাসী ফেনীবাসীর সমন্বয়ে এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রজন্মভিত্তিক টেকসই বাঁধ নির্মাণ; সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের দায়িত্ব প্রদান; মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর শাসন; অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ; মুছাপুর ক্লোজার ও আশপাশের বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণ; দখলমুক্ত খাল খনন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ; জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও ২০২৪ সালের বন্যার ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব প্রকাশ ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘টেকসই বাঁধ চাই’, ‘পাউবোর দুর্নীতির বিচার চাই’, ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ সহ নানা স্লোগান দেন।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক নুর নবী হাসান বলেন, “প্রজন্মভিত্তিক টেকসই বাঁধের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আশ্বাস না পাই, আমরা মহাসড়ক অবরোধে যাব।”

আরেক সংগঠক ওসমান গনি রাসেল বলেন, “আমাদের খালগুলো দখল হয়ে গেছে। প্রতি বছর বর্ষায় নদীর বাঁধগুলো ভেঙে পড়ে। অবিলম্বে দখল হওয়া খালগুলো পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং বাঁধ নির্মাণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

পদযাত্রায় একাত্মতা প্রকাশ করে ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আব্দুল হান্নান বলেন, “এসব দাবি বাস্তবসম্মত। সরকারের উচিত অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া।”

কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে ফেনী শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। পদযাত্রায় ফেনীর ছয় উপজেলার ভুক্তভোগী বাসিন্দা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি ও সাধারণ ছাত্র-জনতা অংশ নেয়।