সারা বাংলা

বিএনপি-জামায়াত করেন আপত্তি নেই, আ.লীগের সঙ্গে সখ্যতা মানব না 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, “আপনি বিএনপি করেন, জামায়াত করেন তাতে আমাদের সমস্যা নেই। তবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সখ্যতা আমরা কখনো মেনে নেব না।”

আওয়ামী লীগ সম্পর্কে এনসিপির এই নেতা বলেন, “কুমিল্লায় বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের নির্যাতিত হতে হয়েছে। এখনো আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। কুমিল্লাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ, আওয়ামী লীগ আবার ফিরে এলে তারা চার কোটি সন্তানকে বাঁচতে দিবে না।”

বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হল মাঠে জেলা ও মহানগর এনসিপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এটি ছিল এনসিপির জুলাই পদযাত্রার ২৩তম দিনের কর্মসূচি।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “হাসিনা একসময় বলেছিলেন, কুমিল্লার নামের আগে কু রয়েছে, তাই এ নামে বিভাগ হবে না। আমরা এখন তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছি। কুমিল্লা নামেই বিভাগ হবে।”

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের শিকার হয়েছে কুমিল্লা। এখানকার মানুষ আত্মনির্ভরশীল ও রেমিটেন্স নির্ভর। কুমিল্লায় যে উন্নয়ন হয়েছে, তা কুমিল্লাবাসীর টাকায়। এই অঞ্চল অবকাঠামো উন্নয়নে এখনো পিছিয়ে। ক্যান্টনমেন্ট থেকে সিলেট সড়কে দুইটি বাস একসঙ্গে চলতে পারে না, অথচ এটিকে বলা হয় মহাসড়ক।”

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমরা আগে ভাবতাম, শুধু উত্তরবঙ্গই বঞ্চিত। কুমিল্লায় এসে দেখি, এখানে টানা দুই কিলোমিটার ভালো রাস্তা নেই। সরকার ব্যবস্থা না নিলে আমরা নিজেরা টাকা তুলে রাস্তাঘাট ঠিক করব।”

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিপা, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, জয়নাল আবেদীন শিশির, জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফসা জাহান, কেন্দ্রীয় নেতা সালাউদ্দিন জামিল সৌরভ এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম।

সমাবেশের শুরুতে ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে সভাটি শোকসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

এর আগে, বিকেল ৫টার দিকে কুমিল্লার পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। সেটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এনসিপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা পথসভায় অংশ নেন।