সারা বাংলা

লক্ষ্মীপুর পৌর বাস টার্মিনালের বেহাল দশা

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বেহাল দশায় পড়েছে লক্ষ্মীপুর পৌর বাস টার্মিনালটি। খানাখন্দ আর জমে থাকা পানিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী, চালক ও শ্রমিকদের। 

টার্মিনাল চত্বরজুড়ে বড় বড় গর্ত, বর্ষার পানিতে পুরো এলাকা কর্দমাক্ত হয়ে আছে। এদিকে শুকনো মৌসুমে ধুলোয় ঢেকে যায় চারপাশ। এতে যাত্রীদের ওঠা-নামা, গাড়ি চলাচল সবকিছুতেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। 

চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ায় চালকেরা বাধ্য হয়ে রাস্তার ওপরেই যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছেন। এতে যেমন ভোগান্তি, তেমনি বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও। এছাড়া, টার্মিনালের পুরনো ভবনের ছাদ এবং দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। টার্মিনালে নেই কোনো সীমানা প্রাচীর। ফলে রাতে মাদকাসক্তদের আড্ডা, চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটছে। 

শ্রমিক শেখ মুজিব সেকু, মফিজ ও বাবুল জানান- টার্মিনালে গাড়ি ঢোকানোই মুশকিল। কাদা, পানি আর গর্তে গাড়ি পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যাত্রীদেরও অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু কেউ আমাদের কথা শোনে না। বাস টার্মিনালটির সীমানা প্রাচীরও ভেঙে গেছে বহু আগে। ফলে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। নিয়মিত টোল আদায় করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ টার্মিনাল মেরামতে উদাসীন।

ইকোনো গাড়ির ম্যানেজার জুয়েল ভেন্ডার বলেন, “বেহাল টার্মিনালে কোনো নিরাপত্তা নেই। গাড়ি রেখে গেলে মালামাল চুরি হয়। বড় বড় গর্তে পড়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়। টার্মিনালে কোন গাড়ি ঢোকে না। এসব কারণে আমরা সমস্যায় আছি। বর্ষাকালে কোন যাত্রী টার্মিনালে আসে না। ২০-২৫ জনের বেশী যাত্রীও পাওয়া যায় না। টাকা আদায় তো হয় ঠিকই, কিন্তু সেই টাকা দিয়ে টার্মিনালের কোনো উন্নতি হয় না।”

১৯৯৬ সালে নির্মিত টার্মিনালের মাঠের পাশে ২০০৮ সালে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় একটি বহুতল ভবন। সেই ভবনের অবস্থাও এখন নাজুক। ব্যবহার না হওয়ায়, পরিত্যক্ত স্থানে পরিণত হয়েছে ভবনটি।

লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক জসীম উদ্দিন বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে সমস্যা চিহ্নিত করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে টার্মিনাল উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”