বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু যুদ্ধের পর শেখ মুজিব যেমন বাকশাল প্রতিষ্ঠার পায়তারা করেছিলেন, ঠিক তেমনি আজো ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। আমি গর্ব করে বলতে পারি, বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী একাত্তরের মতো ২০২৪ সালেও বুক পেতে দিয়েছেন। যাদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা মুক্ত।”
শনিবার (৯আগস্ট) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাব ব্যাংকুয়েট হলে ‘৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহিদ জিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা এ সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, “জনগণকে বিভ্রান্ত করতে কিছু মহল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে চায়। আমরা চাই মানুষ প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব, যোগ্যতা ও সততা দেখে ভোট দিক। জনগণও আমাদের সঙ্গে একমত। বিগত ১৭ বছর সংগ্রাম ও লড়াই করে আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে এসেছি, অনেক নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন। অথচ এর সুযোগ নিচ্ছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল।”
একাত্তরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন লুঙ্গি ও গামছা পরা খেটে খাওয়া অসহায় বাঙালি। কিন্তু স্বাধীনতার পর দেখলাম, বড়লোকের ছেলেরা মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় নিয়ে নিয়েছে।”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল খুলনা মহানগরের সভাপতি শেখ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা মহানগরের সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল আলম তুহিন, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু।