নীলফামারীর ডিমলায় শহীদ জিয়া ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রদলের ঘোষিত নতুন কমিটিতে পদ পেয়েছিলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত এক ছাত্রলীগ নেতা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তুমুল সমালোচনা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত ওই নেতাকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা ছাত্রদল।
রবিবার কলেজ শাখা ছাত্রদলের নবঘোষিত কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা হাফিজার রহমানের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপরই নীলফামারী জেলা ছাত্রদল প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে অব্যাহতি দেয়।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ পারভেজ প্রিন্স ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোজ্জাম্মেল হক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: ‘গত ১৬ আগস্ট শহীদ জিয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের কমিটি প্রকাশ করা হয়। কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফিজার রহমানের বিরুদ্ধে পরিচয় গোপনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। একইসঙ্গে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহিদুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো।’
জানা গেছে, হাফিজার রহমান ২০২৩ সালে ৭ নম্বর খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এ প্রসঙ্গে ডিমলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হালিমুল হোসেন রাসেল বলেন, “উপজেলা সভাপতি পদপ্রত্যাশী সেলিম ইসলাম সাগরের সুপারিশে জেলা ছাত্রদলের নেতারা এ কমিটি ঘোষণা করেছিলেন। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’’
সেলিম ইসলাম সাগর অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। হাফিজার রহমান ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন বিষয়টি জানা ছিল না। কমিটিতে তাকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে আমি সুপারিশও করিনি।’’এ বিষয়ে জানতে হাফিজার রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।