সারা বাংলা

ঝিনাইদহে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, শিক্ষকের বিচার দাবি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেথুলী সাইটবাড়ীয়া বলাকান্দর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত আসাদুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় দবিরুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক ইসমাত আরা পারভীন। অভিযুক্ত শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। 

এ দিকে ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ অভিযুক্ত শিক্ষক এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে প্রতিবারই তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছেন। 

নাসিরুদ্দিন টিটো নামে বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘‘আমার মেয়ে এই স্কুলে লেখাপড়া করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক যদি ছাত্রীর সাথে এমন কাজ করে তাহলে আমার মেয়েও এখানে নিরাপদ না। আমি মেয়েকে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাবো।’’ তিনি অভিযুক্ত শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।

এ প্রসঙ্গে আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘‘রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা করার জন্য আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি সরাসরি রাজনীতিতে জড়িত না হলেও জামায়াতের সমর্থক। যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটি মিথ্যা। আমি এখনো স্কুল থেকে কোনো শোকজ লেটার পাইনি।’’

ইসমাত আরা পারভীন বলেন, ‘‘ওই শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে ম্যানেজিং কমিটির সভায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুসা করিম বলেন, ‘‘শিক্ষকের দ্বারা এমন কাজ যদি হয়ে থাকে সেটি লজ্জাজনক এবং ঘৃণার। তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’