সারা বাংলা

ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক হলেন যুবদল নেতা হত্যার আসামি

মাগুরায় যুবদল নেতা হত্যা মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মহব্বত মোল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নিহত যুবদল নেতার স্ত্রী হত্যা মামলার বাদী টুম্পা পারভীনের অভিযোগ, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।

মহব্বত মোল্যা মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামের মৃত ওহাব মোল্যার ছেলে। ২০ আগস্ট নাকোল ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ৩০ মার্চ রাতে নাকোল বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জেলা যুবদলের সদস্য মিরান হোসেন (৪৫)। এ ঘটনায় তার স্ত্রী টুম্পা পারভীনের করা হত্যা মামলায় ১৩ নম্বর আসামি মহব্বত মোল্যা।

টুম্পা পারভীন আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাইজিংবিডি-কে বলেন, ‘‘মামলা করে আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচন করছেন। বিএনপির নেতাদের সঙ্গে তাদের ছবি দেখছি। অথচ পুলিশ তাদের ধরছে না। সাক্ষীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি ভয়ে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারি না।’’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মহব্বত মোল্যা যুবদল নেতা মিরান হোসেন হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেন।  তিনি বলেন, ‘‘হত্যা মামলায় আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে।’’

শ্রীপুর উপজেলায় বিএনপির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার দায়িত্বে আছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খান হাসান ইমাম। তিনি  বলেন, ‘‘মহব্বত নামের ওই নেতার নামে আমরা যেসব অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলো তদন্ত করা হয়েছে। দল এ সব বিষয়ে যে নির্দেশনা দিয়েছে, তাতে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাইনি।’’

যুবদল নেতা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর থানা পুলিশের এসআই আবদুল মালেক বলেন, ‘‘এই মামলায় এখন পর্যন্ত সাত থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহব্বত মোল্যা উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে তাকে আমি প্রকাশ্যে দেখিনি।’’