সারা বাংলা

গফরগাঁওয়ে রেলপথ অবরোধ, আড়াই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

শিশু সাদাব হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রেলপথ অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সরে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শিশু সাদাব হত্যার ঘটনা তদন্তে পুলিশের গাফিলতি রয়েছে। এর প্রতিবাদে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন তারা। এ সময় সাদাব হত্যার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানো হয়।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘‘শিশু সাদাব হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে-প্রশাসনের এমন আশ্বাসের পর রেলপথ থেকে সরে যায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় আটকে থাকা জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি জামালপুরের উদ্দেশে রওনা দিলে ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’’

নিহত সাদাব জেলার নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বারঘরিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আল-আমিনের ছেলে। শিশুটি মায়ের সঙ্গে গফরগাঁওয়ের পাগলা থানার পাঁচবাগ ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামে নানা বাড়িতে থাকত।

এর আগে, গত ১১ জুলাই দুপুরে নিখোঁজ হয় সাদাব। পরদিন দুপুরে শিশুটির স্বজনদের কাছে মুঠোফোনের দুটি নম্বর থেকে ৩০ হাজার ও ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এর মধ্যে, একটিতে ২০ হাজার ও অপর নম্বরে ৮ হাজার টাকা পাঠানো হয়।

১৫ জুলাই সকালে স্বজনেরা বাড়ি থেকে দূরে একটি পুকুরে সাদাবের মরদেহ ভাসতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। স্বজনেরা শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।

পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, ‘‘শিশু সাদাব হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রেলপথ অবরোধের বিষয়টি জেনেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো হাতে আসেনি। মামলাটি তদন্ত চলছে।’’