খুলনায় জাতীয় পার্টি (জাপা) জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে হামলার চেষ্টা করেছে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে নগরীর ডাকবাংলা মোড়ের কার্যালয়ে হামলা করা হয়। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় হামলাকারীরা কার্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি। হামলাকারীরা প্রধান ফটকের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
জাতীয় পার্টির খুলনা জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু বলেন, “সারা দিন আমরা অফিসে ছিলাম। আছরের আগে অনেকে পাশের মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য গেলে একটি মিছিল আমাদের কার্যালয়ের সামনে এসে মারমুখী অবস্থান নেয়। তারা গেট ভাঙার চেষ্টা করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একটি গেট ভাঙা হলেও অপরটি ভাঙতে পারেনি। তবে সাইনবোর্ড ভেঙে দেয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ধাওয়া করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।”
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক এস কে রাশেদ হামলার বিষয় স্বীকার করে বলেন, “জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে গেলে সেখানকার নেতাকর্মী ও পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন। আমরা নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলাম।”
রাজধানীর কাকরাইলে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জাপার কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের মিছিল যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় নুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
খুলনায় জাপা কার্যালয়ে হামলার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘‘হঠাৎ করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের সামনে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে শুরু করে। তারা সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। লোকজন ভয়ে আশপাশে দৌড়াতে থাকে। গাড়ি ও দোকানপাটের সামনে অবরোধ করে। বিক্ষোভকারীরা চলে যাওয়ার সময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।’’
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, “গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল সহকারে জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে আসে। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। অফিসের সাইনবোর্ড ভাঙা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”