সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় তিনটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৮ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। বর্তমানে ট্রলারগুলো মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকার পাতনজা ঘাটে রয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সেন্টমার্টিন ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিজ এতথ্য জানান।
ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন- সেন্টমার্টিন গলাচিপা ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের মাঝি, মনি উল্লাহ, রহমত উল্লাহ, আবু বক্কর, সৈয়দ উল্লাহ, রফিক, আবছার মাঝি, মো. তাহের, মতলব, হাফেজ আহমদ, মো. আমিন, সালা উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, আলমগীর মাঝি, আব্দুর রহিম, মো. আলম, সাব্বির ও তৈয়ব। ফিশিং বোট তিনটি স্থানীয় জেলে আবছার, আবু তাহের ও আলমগীরের মালিকানাধীন।
সেন্টমার্টিন ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিজ জানান, রবিবার (৩১ আগস্ট) ভোর ৬টার দিকে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পশ্চিমে বাদর হাচা এলাকায় মাছ শিকারের সময় দুইটি স্পিডবোট নিয়ে এসে আরাকান আর্মি জেলেদের ধরে নিয়ে যায়। ঘাটে ফিরে আসা জেলেদের মাধ্যমে তিনি ঘটনাটি নিশ্চিত হন।
তিনি বলেন, “আটক সব জেলেই সেন্টমার্টিনের গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি কোস্টগার্ড, বিজিবি ও পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)শেখ এহেসান উদ্দিনের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) এক মতবিনিময় সভায় বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ওইদিন পর্যন্ত ৫১ জন জেলে আরাকান আর্মির কাছে জিম্মি ছিল।
তিনি বলেন, “আমরা আরাকান আর্মির ওপর চাপ প্রয়োগ করছি, যেন আর কোনো জেলে অপহরণ না হয়।”
কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জেলেদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সাগরে মাছ ধরতে গেলে অবশ্যই নির্ধারিত জলসীমা মেনে চলতে হবে। অসচেতনতা এবং কিছু চোরাকারবারির সহায়তায় সীমান্ত অতিক্রমের কারণে অনেক সময় তারা ঝুঁকিতে পড়ছেন।”