স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দিনাজপুরের বিরামপুরে দুটি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র দুটি হলো- বিরামপুর স্কয়ার হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং গ্রামীণ আই এন্ড হেল্থ কেয়ার হাসপাতাল।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করার জন্য পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা লাইসেন্স, ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট, ফায়ার সার্টিফিকেট, শ্রম অধিদপ্তরের সার্টিফিকেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের সার্টিফিকেট ও স্বাস্থ্য বিভাগের লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। এই দুই প্রতিষ্ঠানে এসব কাগজপত্র নেই।
উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায় গড়ে উঠেছে গ্রামীণ আই এন্ড হেল্থ কেয়ার হাসপাতাল। এর ভিতরে এবং বাইরে ঝুলানো রয়েছে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যানার। সাইনবোর্ডে লেখা আছে গ্রামীণ আই চশমাঘর। সেখানে সপ্তায় একদিন সেখানে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন নেই, নেই অন্যান্য দপ্তরের ছাড়পত্র।
পৌর শহরের পল্লবী এলাকায় অবস্থান বিরামপুর স্কয়ার হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির। সেখানেও নেই স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন পত্র। এছাড়াও নেই কোন দপ্তরের ছাড়পত্র। তারা কেবল আবেদনের কপিটি দেয়ালে ঝুলিয়ে রেখেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে, গ্রামীণ আই এন্ড হেল্থ কেয়ার হাসপাতালের পরিচালক আরিফ বলেন, “অনলাইনে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেতে সময় লাগবে।”
একই প্রশ্নে বিরামপুর স্কয়ার হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মোফাচ্ছের হোসেন বলেন, “আমাদের হাসপাতাল এখনও চালু করা হয়নি। শুধু ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করা হয়েছে। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছে।”
গ্রামীণ আই এন্ড হেল্থ কেয়ার হাসপাতালের সাইনবোর্ড।
বিরামপুর উপজেলার বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সভাপতি ডা. ইমার উদ্দিন কায়েস বলেন, “উপজেলায় মোট ১৯টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে বিরামপুর স্কয়ার হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং গ্রামীণ আই এন্ড হেল্থ কেয়ার হাসপাতাল এই দুইটি প্রতিষ্ঠানে তেমন কোন অনুমোদন পত্র নেই। তাদের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য বলা হবে।”
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান বলেন, “গ্রামীণ আই এন্ড হেল্থ কেয়ার হাসপাতাল এবং বিরামপুর স্কয়ার হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এই দুইটি প্রতিষ্ঠানে সমস্যা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, “গত জুলাই মাসে বিরামপুরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে জরিমানাসহ সতর্কতা করা হয়েছিলো। যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও অনুমোদন নেয়নি, ঐসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।”