নেত্রকোনার বারহাট্টায় ধর্ষণে এক কিশোরী (১৪) পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে থানায় মামলা করেছেন।
মামলার পরপরই পুলিশ সহযোগী হিসেবে পারুল আক্তার (৪৫) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে, মূল অভিযুক্ত কিবরিয়া (২৮) পলাতক রয়েছেন।
বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘‘গ্রেপ্তার পারুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পলাতক আসামি কিবরিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কিশোরীকে কৌশলে নিজের ঘরে নিয়ে যান পারুল আক্তার। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল কিবরিয়া। পরে পারুল বাইরে থেকে দরজা আটকে রেখে চলে গেলে কিবরিয়া কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “কিবরিয়া আমার মেয়েকে সর্বনাশ করেছে। আলট্রাসনোগ্রামে দেখা গেছে, সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমি ন্যায়বিচার চাই।”