সারা বাংলা

কুষ্টিয়ায় নদী থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কালিগঙ্গা নদী থেকে নাছিমা খাতুন (৪০) নামের এক নারীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের দুধকুমড়া এলাকায় নদী থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নাছিমা খাতুন ওই এলাকার দিনমজুর মহেদ আলীর স্ত্রী। 

লাশ উদ্ধারের পর নাছিমার স্বামী ও ছেলের বিপরীতধর্মী বক্তব্য পাওয়া গেছে। ছেলের দাবি, রাত ১টা থেকে তার মাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অপরদিকে, স্বামীর দাবি, ভোরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে মারা গেছে নাছিমা।

নাছিমার চাচার ভাষ্য, বিয়ের পর থেকেই নাছিমার সংসারে অশান্তি চলছিল। পারিবারিক কলহের জের ধরেই তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়েছে তার স্বামী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মরা কালিগঙ্গা নদী থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে মহেদ আলী ও নাছিমা খাতুন দম্পতির বসবাস। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। বৃহস্পতিবার সকালে মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা নাছিমার ভাসমান মরদেহ দেখে স্বজনদের খবর দেন। পরে পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

নাছিমার স্বামী মহেদ আলী বলেছেন, বুধবার দুজন মিলে নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করেছি। রাতে খেয়ে ১১টার দিকে ঘুমিয়েছি একসঙ্গে। ভোরে নদীতে ফরজ গোসল করতে গিয়ে আর ফেরেনি নাছিমা। রাতে কোনো ঝগড়া বা ঝামেলা হয়নি। 

নাছিমার ছেলে রাজিব হোসেন বলেছেন, রাত ১টা থেকে মাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজিও করা হয়েছিল। পরে সকালে জেলেরা খবর দিলে মরদেহ পেয়েছি।

নাছিমার চাচা ইসমাইল শেখ বলেন, বাবা-ছেলের কথায় মিল নেই। বিয়ের পর থেকেই নাছিমার সংসারে অশান্তি ছিল। পারিবারিক কলহের জেরে নাছিমাকে মেরে নদীতে ফেলে দিয়েছে তার স্বামী। তদন্ত করলেই সব বেরিয়ে আসবে।

কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোন্দকার জিয়াউর রহমান বলেছেন, খবর পেয়ে নদী থেকে এক নারীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সন্দেহজনক হওয়ায় সুরতহাল শেষে মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।