সারা বাংলা

মুরাদনগরে মন্দিরের জমি থেকে মাটি লুট

কুমিল্লার মুরাদনগরে অবৈধ ড্রেজারের দৌরাত্ম্যে কৃষি ও ধর্মীয় স্থানের জমি ধ্বংসের মুখে। শুধু এই উপজেলাতেই প্রতি বছর অন্তত ৫০০ একর কৃষি জমির মাটি অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে।

উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই গড়ে পাঁচটি করে ড্রেজার মেশিন সক্রিয়। প্রশাসন অভিযান চালালেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের সক্রিয় হয়ে যায় সিন্ডিকেট।

সম্প্রতি রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের বি-চাপিতলা বিলের ব্রাহ্মণ চাপিতলা মৌজায় শ্রী শ্রী দক্ষিণা কালীমাতা মন্দিরের ২ একর ৫৪ শতক জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রভাবশালী তাইজুদ্দিন জমিটি দখল করে আহমেদ মিয়ার কাছে প্রতি ফুট ৫ টাকা দরে মাটি বিক্রি করেন। পরে জসীম উদ্দীন ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন।

এ বিষয়ে জসীম উদ্দীন বলেন, “জমিটি মন্দিরের তা জানতাম না। এখন শুনে ড্রেজার বন্ধ করার কথা ভাবছি।” আহমেদ মিয়াও একই বক্তব্য দেন। তবে তাইজুদ্দিন দাবি করেন, তার বাবা প্রায় ৪০ বছর আগে জমিটি মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কিনেছেন, কিন্তু রেকর্ড সংশোধন হয়নি।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমান বলেন, “আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষি জমি থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটা নিষিদ্ধ। মন্দিরের জমি থেকেও মাটি তোলা বেআইনি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

মাটি-ভরাটের চাহিদা বেশি থাকায় সমস্যা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হলেও প্রতিবার তথ্য পেলে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান ইউএনও।