সারা বাংলা

বাসাইলে পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ডাক, সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

টাঙ্গাইলের বাসাইলে একই স্থানে এবং একই সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও ফ্যাসিস্টদের পুর্নবাসনবিরোধী সমাবেশের আহ্বান করা হয়েছে।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ সমাবেশের আহ্বান করা হয়।

কাদেরিয়া বাহিনীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল এবং ছাত্র সমাজের ব্যানারে রনি মিয়া সমাবেশ আহ্বান করেন। উভয়পক্ষের মাইকিং প্রচারণায় এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। এ সমাবেশে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বলে জানানো হয়।

অপরদিকে, ছাত্র সমাজের ব্যানারে একই স্থানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেন ছাত্র নেতৃবৃন্দের প্রতিনিধি রনি মিয়া। সমাবেশটি ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারবিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দের প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী ছাত্ররা বক্তব্য রাখবেন বলে জানানো হয়।

ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দদের পক্ষে আবেদনকারী রনি মিয়া বলেন, “সারাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুর্নবাসন করার চেষ্টা চলছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের যেন পুর্নবাসন করতে না পারে, এজন্য আমরা ছাত্র সমাজ এই সমাবেশের ডাক দিয়েছি, যা খুবই শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। যত বাধা বিপত্তি আসুক, আমরা নির্ধারিত স্থানেই সমাবেশ করব। অনুষ্ঠানে ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকবেন।”

যুদ্ধকালীন কম্পানী কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল বলেন, “বিষয়টি নিয়ে থানায় এসেছি। পরে পুলিশ সুপারের কাছে যাব।”

জানতে চাইলে বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, “একইস্থানে কাদেরিয়া বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও ছাত্র সমাজ সমাবেশের আহ্বান করেছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা কাউকে শহীদ মিনারে অনুষ্ঠান করতে দেব না। প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা বেগম বলেন, “উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করার জন্য পৃথক দুটি আবেদন জমা হয়েছে। বিষয়টি থানা পুলিশের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”