সারা বাংলা

আবার খোলা হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট

কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট তৃতীয়বারের মতো খুলে দেওয়া হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ৩টায় ১৬টি জলকপাটের সবগুলো ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে।  

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় জলকপাটগুলো খুলে দেওয়া হয়।  

কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান জানান, হ্রদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছায় উজান ও ভাটি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে দুপুর পৌনে ৩টায় ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি পরিমাণ উঠিয়ে পানি নিষ্কাশন শুরু করা হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। দুপুরে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ১০৮ দশমিক ৬৫ এমএসএল। হ্রদের পানি সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। 

তিনি আরো জানান, বর্তমানে হ্রদের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইনফ্লো বেশি হলে অর্থাৎ পানির লেভেল অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের (জলকপাট) গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে আরো ৩২ হাজার কিউসেক পানি নির্গত হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে মোট ৪১ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে। বর্তমানে এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২২০ মেগাওয়াট।

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপৎসীমার ওপর অতিক্রম করায় অর্থাৎ ১০৯ এমএসএলের প্রায় কাছাকাছি চলে আসায় গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২ টা ৫ মিনিটে ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হ্রদের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জলকপাট সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়। অবশেষে পানি ছাড়ার সাত দিন পর পানির উচ্চতা কমে আসায় গত ১২ আগস্ট সকাল ৯টায় জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবারো পানি বেড়ে যাওয়ায় গত ২০ আগস্ট জলকপাট ৬ ইঞ্চি খুলে দেওয়া হয়। যা বন্ধ করা হয় ২৩ আগস্ট।