বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধসহ কিছু সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ থেকে ধরে নিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগের মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাখাওয়াত হোসেন আদালতের নির্দেশের তথ্য সাংবাদিকদের জানান। তিনি জানান, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দায়ের করা মামলায় দুদককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর এমতাজুল হক।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে শাখাওয়াত হোসেন জানান, মামলার আসামিরা হলেন, কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান, মহানগর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সগীর হোসেন, কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম, স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নাসিম ও কনস্টেবল বিশ্বজিৎ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী নগরীর সিএন্ডবি পোল এলাকার পেশকার বাড়ির মসজিদ গলির বাসিন্দা তাসমিন ইয়াসমিন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধ ও সিন্ডিকেট ভাঙাসহ স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে। গত ১৯ আগস্ট নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ সড়কের নগর ভবনের সামনে তারা বিক্ষোভ করার জন্য জড়ো হন। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনকে আটক করে।’’
তিনি আরো অভিযোগ করেন, ‘‘মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয় সংলগ্ন ওয়াপদা কলোনিতে তাকেসহ কয়েকজনকে আটকে রেখে পুলিশ মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন।’’