সারা বাংলা

হরতালে স্থবির বাগেরহাট

চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা হরতালে স্থবির হয়ে পড়েছে বাগেরহাটের জনজীবন। হরতালের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরেও জেলার বিভিন্ন সড়কে বেঞ্চ পেতে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখতে দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

হরতালের প্রভাব পড়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলাতেও। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে না পারায় আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

সর্বদলীয় কমিটির দাবি, জেলার সবকটি উপজেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালনে অবস্থান নিয়েছেন তারা। 

মোংলা বন্দর শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, “টানা হরতালের কারণে আমরা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। পণ্য পরিবহন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “বিদেশি পণ্য পরিবহনকারী জাহাজ কর্তৃপক্ষের ওপর হরতালের প্রভাব পড়বে। তাই সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টির সমাধান করতে হবে। না হলে সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

হরতালের কারণে বাগেরহাট থেকে কোনো বাস চলাচল করছে না 

স্থানীয়রা জানান, হরতালের কারণে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনো গণপরিবহন চলাচল করছে না। এতে যাত্রী ও চালকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গতকাল বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির সমর্থনে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাতভর সড়ক অবরোধ করে রাখেন হরতালকারীরা। দোকান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।

বাগেরহাটের কাপড় ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম কাজল বলেন, ‍“হরতালের কারণে আমাদের দোকানদাররা দুই দিন দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন। মার্কেটে লোকজন আসতে পারছেন না, এতে আমাদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের হরতালের বিকল্প আন্দোলন বেছে নেওয়া উচিত।” 

বাস টার্মিনাল এলাকার দোকান মালিক শাহিন হাওলাদার বলেন, “আমি ঋণ নিয়ে দোকানে মালামাল তুলেছি। হরতল অবরোধের কারণে নিয়মিত বেচাকেনা করতে পারছি না। ফলে আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছি।”

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম.এ সালাম বলেন, “বাগেরহাটবাসীর ন্যায্য অধিকার হরণ করেছে নির্বাচন কমিশন। হঠাৎ আসন কমিয়ে জনগণকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, “পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”