সারা বাংলা

কুড়িগ্রামে ১৭০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীসার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ অন্য নদ-নদীর পানিও। ফলে প্লাবিত হয়েছে নদী অববাহিকার চর ও নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে আমনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। কৃষকদের অনেককেই নৌকায় করে জমিতে গিয়ে কাঁচা ধান কাটতে দেখা গেছে।  

স্থানীয়রা জানান, পানি আরো বৃদ্ধি পেলে তলিয়ে থাকা ধানসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। পানি দ্রুত নেমে গেলে ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে কিছুটা হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে আগামী দুই দিন পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের সরিষাবাড়ি এলাকার সফর উদ্দিন জানান, ‍“তিস্তার চরে ধান আবাদ করেছি। যার অর্ধেক তলিয়ে গেছে। এ জন্য কাঁচা ধান কেটে নিয়ে আসতেছি।”

একই ইউনিয়নের বুড়িরহাট এলাকার আব্দুল মজিদ বলেন, “হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরের আবাদ তলিয়ে গেছে। পানি কিছুটা কমেছে। পানি কমলে ফসলের ক্ষতি হবে না। আর বৃদ্ধি পেলে ক্ষতি হবে।”

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, “পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদ-নদী অববাহিকার ১২০ হেক্টর জমির রোপা আমন, ৪৫ হেক্টর জমির শাকসবজি ও ৫ হেক্টর জমির মাসকলাই তলিয়ে গেছে। পানি দ্রুত নেমে গেলে এসব ফসলের ক্ষতি হবে না।”