ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকার গাজী-কালু চম্পাবতী মাজারের ওরস শরীফের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে কমিটির উপদেষ্টা, সদস্যসহ ২৮ জন স্বাক্ষর করেছেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি বছরের ফাল্গুন মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ও ভাদ্র মাসের শেষ বৃহস্পতিবার গাজী-কালু চম্পাবতীর মাজারে ওরস অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সারাদেশ থেকে ভক্তবৃন্দ আসেন এবং মাজারের উন্নয়নের জন্য অর্থ দান করেন।
চলতি বছর ২টি ওরসে আনুমানিক প্রায় ১৫ লাখ টাকা আয় হয়েছে। এই টাকার হিসাব চাইলে সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ক্যাশিয়ার কর্ণপাত করছেন না। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের মতো করে মাজারের টাকা লুটপাট করছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজী-কালু চম্পাবতীর মাজারের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘‘যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা একদমই মিথ্যা। হিসাবের সবকিছু আমার কাছে আছে। আমি হিসাব দিতে প্রস্তুত। আমি শুধু হিসাবের খাতা দেখি, টাকা খরচ করেন কমিটির সিনিয়র সদস্যরা।’’
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেদারুল ইসলাম বলেন, ‘‘গাজী-কালু চম্পাবতী মাজারের অর্থ আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।’’