বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দোকানটির মালিকসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বোয়ালিয়া বাজারে ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুরে বোয়ালিয়া বাজারের নিজ দোকানে বসে ছিলেন জামায়াত নেতা মিজানুর রহমান পান্না। এ সময় স্থানীয় বিএনপির কর্মী রানা মল্লিক, রুমান মল্লিক, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জসিম ডাকুয়া, জুয়েল ডাকুয়া, রবিউল ইসলামসহ ১৫-২০ জন মিজানুর রহমানের দোকান প্রবেশ করে মালামাল ভাঙচুর করতে শুরু করেন। পাশাপাশি তারা নগদ টাকা লুট করেন। হামলা ঠেকাতে গিয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ী আহত হন। রাজনৈতিক কারণে হামলা হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
আহতরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বায়তুল মাল সম্পাদক ও ওয়ার্ড শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মিজানুর রহমান পান্না, খোকন হাওলাদার, ইমন হাওলাদার ও রানা হাওলাদার।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক ফিরোজ আলম জানান, বোয়ালিয়া বাজারে তাদের দলীয় কর্মী মিজানুর রহমান পান্নার দোকানে হামলা-ভাঙচুর ও মারধর করে কয়েকজনকে আহতের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা বিএনপি যুগ্ন-আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল এসে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছেন। দলীয় ফোরামে আলোচনা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান মিজান জানান, বোয়ালিয়া বাজারে মারামারির ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এ ঘটনায় দলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ব্যবস্থা কিংবা মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তিনি সকালে বাকেরগঞ্জ পৌঁছে এ বিষয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, মিজানুর রহমান পান্নাদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।