সারা বাংলা

খাগড়াছড়িতে আজও সড়ক অবরোধ, ১৪৪ ধারা বহাল

স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে ডাকা অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ চলছে। অবরোধের দ্বিতীয় দিন সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জানমাল রক্ষার্থে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারায় ১৪৪ ধারা বহাল রেখেছে প্রশাসন।

অবরোধ চলাকালে গত শনিবার খাগড়াছড়ি শহরে পিকেটারদের সঙ্গে স্থানীয় বাঙালি যুবকদের সংঘর্ষ হয়। পরে তা মহাজন পাড়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মহাজন পাড়া ও স্বনির্ভর বাজারের কিছু পাহাড়ি ও বাঙালিদের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে উভয় পক্ষের লোকজন। এ ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জানমাল রক্ষার্থে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অরবোধ চলাকালে গুইমারা খাদ্য গুদাম এলাকায় জুম্ম ছাত্র-জনতা ও স্থানীয় বাঙালিদের সংঘর্ষ শুরু হয়। অনেকে আহত হন। এরপর থেকেই থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রাখতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।

অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ির সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে

গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি ক্ষেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে ৬ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে অবরোধ চলাকালে গতকাল রবিবার দুপুর ১টার দিকে গুইমারার একটি বাজারে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে বাজারের কয়েকটি দোকান পুড়ে যায়। এ সময় বাজারের পাশে থাকা বসতঘরও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

বাজারটি চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে। বাজারে আগুন দেওয়ার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে আগুনে বাজারের দোকানপাট জ্বলতে দেখা যায়। বাজারের দোকানমালিকদের অধিকাংশ পাহাড়ি বলে জানা গেছে।