শরীয়তপুরের সখিপুরে দারুণ নাজাত মাদ্রাসার নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ৬ বছর বয়সী শিশু তায়েবা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী শরীয়তপুর আদালত চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিহতের পরিবার, এলাকাবাসী, আইনজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় তারা হত্যার ঘটনা উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, শিশু তায়েবার নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পরে প্রতিবেশীর সেপটিট্যাঙ্কে তার মরদেহ মেলে। প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি নিয়ে ঝামেলার কারণে তায়েবাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে তাইবা বাবা টিটু সরদা বলেন, “আমার সন্তানের হত্যাকাণ্ডে সবকিছুই এখন স্পষ্ট। সখিপুর থানার ওসি সাহেব বলেছেন, সাক্ষ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে আয়েশা বেগমকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখেছি, এজাহারে আয়েশা বেগমের নামই নেই। এসপি সাহেব যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সঙ্গেও ওসির বক্তব্যের কোনো মিল নেই।”
তিনি বলেন, “আমি আমার মেয়ের প্রকৃত হত্যাকারীদের কঠোর ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। আমি চাই হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ ফাঁসি হোক।”
এ সময় আল আমিন বলেন, “একটি ৬ বছরের শিশু তায়েবার নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে আজ রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে, এর চেয়ে লজ্জাজনক ও দুঃখজনক আর কী হতে পারে? প্রশাসন এতটা উদাসীন ও দুর্বল হয়ে পড়েছে কেন, সেটাই এখন আমাদের বড় প্রশ্ন। যদি তায়েবা হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হয়, তাহলে তার ছোট ছোট বন্ধু-বান্ধবরা কী শিখবে? তারা কি ভাববে, এই দেশে খুনিদের কোনো বিচার হয় না? তাই আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, অতি দ্রুত তায়েবা হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক।”
গত ২৪ সেপ্টেম্বর তায়েবা বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর তার পরিবারের পক্ষ থেকে সখিপুর থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়রি করা হয়। নিখোঁজের দুইদিন পর অনেক খোঁজাখুজি শেষে পাশের বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।