আওয়ামী লীগের শেরপুর জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পালের জামিন ইস্যুতে জেলা জজ ও পাবলিক প্রসিকিউটরকে অপসারণসহ সাত দাবিতে আন্দোলনে করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে তারা শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। জেলা প্রশাসক আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিলে দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে চলে যান।
গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে ছিলেন চন্দন কুমার পাল। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ছয়টি মামলা হয়। ভারতে পালানোর সময় গত বছরের ১৬ অক্টোবর যশোরের বেনাপোল সীমান্তে আটক হন তিনি। এর পর থেকে তিনি শেরপুর জেলা কারাগারে ছিলেন।
চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে সব মামলায় জামিন পেলেও বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় ফের গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর শেরপুর আদালত থেকে জামিন পান চন্দন কুমার পাল।
আন্দোলনকারীরা বলেন, চন্দন পালের জামিন শুনানিতে বিএনপির হেভিওয়েট আইনজীবীরা উপস্থিত থেকে তার পক্ষে আদালতে কথা বলেছেন।
শেরপুরে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান বলেন, “দেখুন বিষয়টি নিয়ে শত্রুতাবশত আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি বিষয়টি সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেসব্রিফিং করে পরিষ্কার করেছি। প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখিয়েছি। আমি জামিন নামঞ্জুরের আবেদন করেছিলাম, কিন্তু জামিনের এখতিয়ার আদালতের। আমার এর বেশি কি করার আছে।”
এদিকে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। তিনি আন্দোলনকারীদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি তাদের দাবিগুলো লিখিতভাবে দেওয়ার কথা বলেন। জেলা প্রশাসক দাবিগুলো সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছানোরও আশ্বাস দেন। এরপর আন্দোলনকারীরা চলে যান।