নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর-শালনগর গ্রাম থেকে জান্নাতি খানম অন্তু (২৩) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত ৭টার দিকে গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি চর-শালনগর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরে গৃহবধূর স্বামী সাজ্জাদ মোল্যাসহ পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
নিহত জান্নাতি খানম অন্তু শালনগর ইউনিয়নের চর-শালগর গ্রামের দাউদ মোল্যার ছেলে সাজ্জাদ মোল্যার স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মিটুল মোল্যার মেয়ে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চর-শালনগর গ্রামের সাজ্জাদ মোল্যার সাথে রঘুনাথপুর গ্রামের জান্নাতি খানম অন্তুর বিয়ে হয়।
তবে এর আগে সাজ্জাদের বিয়ে হয়েছিল এবং তার প্রথম স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয় যা গোপন করে সাজ্জাদ ও তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুর্গাপূজা উপলক্ষে শালনগর ইউনিয়নের শিয়েরবর মধুমতি নদীতে নৌকা বাইচ ও নদী পাড়ে মেলা দেখার উদেশ্যে ওই গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ি চর-শালনগর থেকে বাবার বাড়ি রঘুনাথপুর আসেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে সাজ্জাদ মোল্যা ও তার পরিবার নিহত অন্তুকে তার বাবার বাড়ি থেকে অটোভ্যানে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে বেলা দেড়টার দিকে সাজ্জাদের ছোট ভাই অন্তুর ভাই সাব্বিরকে ফোন দিয়ে জানায় যে অন্তু স্ট্রোক করেছে আপনারা লোহাগড়া হাসপাতালে আসেন।
পরে অন্তুর পিতা মিটুল মোল্যা লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে রাত ৭টার দিকে জামাই সাজ্জাদ মোল্যার বাড়িতে যান, সেখানে গিয়ে একটি ভ্যানের উপর অন্তুকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দিলে রাতেই লোহাগড়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়। নিহত অন্তুর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে লোহাগড়া থানায় নিহতের বাবা মিটুল মোল্যা জানান, অন্তুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাজ্জাদ ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছে। এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত সাজ্জাদ মোল্যা ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে বলেন, “মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”