কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পুকুর থেকে অনন্যা ইসলাম যুথি নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে স্থানীয়রা ও চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অবস্থিত পুকুরে মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত অনন্যা ইসলাম যুথি (৩০) কুষ্টিয়া শহরের পেয়ারাতলা এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম বাচ্চুর মেয়ে। ৪ বছর আগে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস ফুলতলা এলাকার নাহিদের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন তিনি।
নিহত যুথির মা জহুরা খাতুন বলেন, “আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। যুথিকে মাঝেমধ্যেই মারধর করতো তার স্বামী নাহিদ। সে মাদকাসক্ত ও মাদক কারবারি। নাহিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “যুথির সঙ্গে ১০ দিন আগে মোবাইলে কথা হয়েছে। ২ মাস আগে তাদের আড়াই বছর বয়সী কন্যা নন্দিতা হারিয়ে যায়। সে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। আমার মেয়েকে হত্যা করেছে নাহিদ। তার ফাঁসি চাই এবং নিখোঁজ কন্যা শিশুর সন্ধান চাই।”
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করলেও অভিযুক্ত নাহিদ ও তার পরিবারের সদস্যদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম বলেন, “সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালের পুকুরে এক নারীর ভাসমান মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।”
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, “হাসপাতালের পুকুর থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”