মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে চলাচলের জন্য ব্যবহৃত একটি কাঠের পুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
উপজেলার পাঁচগাও গ্রামের হাবিল ফকির ও সেলিম ফকিরের বাড়ির মাঝামাঝি খালের উপর সরকারি অর্থায়নে নির্মিত প্রায় ৩০ বছরের পুরোনো কাঠের পুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাবিল ফকিরের লোকজনের বিরুদ্ধে। এতে স্থানীয় অধিবাসীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে পুলটি ভাঙা দেখা গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ পুলটি দিয়ে যাতায়াত করেন। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা পুল পার হয়ে পাঁচগাও স্কুল-কলেজ ও মসজিদে যাতায়াত করে।
তারা আরো জানান, সম্প্রতি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাবিল ফকির এবং সেলিম ফকিরের লোকজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। সে কারণে হাবিল ফকিরের লোকজন সরকারি অর্থায়নে নির্মিত কাঠের পুলটি ভেঙে দেয়।
স্থানীয় সিরাজ ফকির বলেন, ‘‘তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। যদি আমি দোষ করে থাকি তাহলে আমার বিচার হবে। সরকারি এই পুল তারা কেন ভাঙল?’’
এ সময় তিনি পুলটি নতুন করে মেরামত করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত হাবিল ফকির বলেন, ‘‘আমার ভাই ও ভাতিজার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। সেই ক্ষোভে আমার ভাই পুলটি ভেঙে ফেলছে। পরে লোকজন পুল ভাঙার বিষয়টি আমাকে জানালে আমি বিচারের কথা বলি। কিন্তু তারা বিচার না করে পুল ঠিক করে দিতে বলে। এরপর তারা আর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাই।’’
‘‘আমি সাফ বলে দিয়েছি এই জায়গা দিয়ে আমি পুল দেব না। আমি অন্য জায়গা দিয়ে রাস্তা করে দিচ্ছি। ওই রাস্তায় জনগণের জন্য পুল করে দেব,’’ বলেন হাবিল ফকির।
পাঁচগাও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক বেপারি বলেন, ‘‘পুলটি মেরামতের জন্য নতুন করে বরাদ্দ এসেছে। দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলার জন্য কাজটি স্থগিত রাখা হয়েছিল।’’
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন দ্রুততম সময়ে পুলটি মেরামত করে দেওয়া হয়।