সারা বাংলা

ফেনীতে এনসিপির নতুন কমিটি নিয়ে বিতর্ক

ফেনীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদ্য ঘোষিত জেলা কমিটি ঘিরে প্রকাশ্য বিরোধ দেখা দিয়েছে। কমিটি ঘোষণার মাত্র এক দিনের মাথায় শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফেনী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন কমিটিতে স্থান পাওয়া একাংশের নেতারা।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদ্য ঘোষিত কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আবদুল কাইয়ুম সোহাগ। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জোবায়ের, ফজলে এলাহী সায়েমসহ অন্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল কাইয়ুম সোহাগ অভিযোগ করেন, ‘‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ভাবনা ও সাংগঠনিক বিধি উপেক্ষা করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, “৬৯ সদস্যের এ কমিটি গঠনে তৃণমূলের মতামত নেওয়া হয়নি; আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকা অনেককে রেখে নতুন মুখ দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। এমনকি চাঁদা ও ঘুষ সংক্রান্ত অভিযোগ থাকা দুই ব্যক্তিকেও কমিটিতে রাখা হয়েছে, যা জুলাই চেতনার পরিপন্থি।”

তিনি আরো বলেন, ‘‘বিষয়টি কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের জানালেও কোনো সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি।’’ তারা দাবি জানান, বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে ‘প্রকৃত জুলাই যোদ্ধাদের’ নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হোক।

অন্য যুগ্ম সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জোবায়ের বলেন, ‘‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলন ও ৫ আগস্ট পরবর্তী এনসিপির কার্যক্রমে অগ্রভাগে থাকা সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল আজিজ ও ‘স্লোগান মাস্টার’ তাহমিদুল ইসলামকে বাদ দেওয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ।’’  তার ভাষায়, “এনসিপির কার্যক্রম মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হলে প্রকৃত আন্দোলনকারীদের জায়গা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় নেতারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমরা আশা করি।"

গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) এনসিপি ফেনী জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় জাহিদুল ইসলাম সৈকতকে এবং সদস্য সচিব করা হয় শাহ ওয়ালী উল্লাহ মানিককে।

কমিটি ঘোষণার পর থেকে জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের কয়েকজন ও এনসিপির স্থানীয় কর্মীরা আপত্তি জানিয়ে আসছেন।