বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, “মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সারা জীবন মজলুম মানুষের পক্ষে কাজ করেছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে আপস করেননি।”
তিনি বলেন, “মওলানা ভাসানী ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে ওয়ালাইকুম আসসালাম বলে স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন। ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জনগণের সহযোগিতায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।”
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। টাঙ্গাইলের সন্তোষে দরবার হলে এ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, “বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তারা দেশের মানুষ ও সম্পদকে শোষণ করেছে। সর্বশেষ ২০২৪-এর জুলাইয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে অভ্যুত্থান হয়েছে।”
তিনি বলেন, “দেশের মানুষ গণতন্ত্রের সুবাতাস পেতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সরকার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ২০১৪, ১৮ ও ২৪ এর নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহী।”
মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক একেএম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলীসহ অন্যরা।
এর আগে, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। পরে তিনি ভাসানীর জীবন নিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রচনাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।