পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ইতালি যাওয়ার পর লাশ হলেন শরীয়তপুরের যুবক নাঈম। পরিবারের দাবি, ইতালিতে ছিনতাইকারীরা মালামাল লুট করে নিতেই গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করেছে তাকে।
নাঈম সদর উপজেলার দক্ষিণ মাহমুদপুর এলাকার এনামুল হক মাদবর
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় তিন বছর আগে ২০ লাখ টাকা ঋণ করে দেশ ছাড়েন নাঈম ইসলাম শান্ত। এক বছর আগে লিবিয়া থেকে সমুদ্রপাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছান তিনি। সেখানে তিনি থাকতেন নেপোলি শহরের একটি ক্যাম্পে। পরিবারের হাল ধরতে এই যুবক কাজ নেন একটি রেস্টুরেন্টে। মঙ্গলবার রাতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে নিহত হন তিনি। পরিবারের অভিযোগ দুষ্কৃতিকারীরা টাকাপয়সা লুট করার উদ্দেশ্যে গাড়িচাপা দিয়ে মেরে ফেলে নাঈমকে। এই খবর বুধবার দেশের বাড়িতে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের স্বজনরা। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবী স্বজন ও এলাকাবাসীর।
নিহতের ভাই বাপ্পি মাদবর বলেন, “কাজ শেষে ফেরার পথে মাঝেমধ্যেই ওই এলাকার কিছু বখাটে আমার ভাইকে জ্বালাতন করতো। গতকাল রাতে তারা আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। আমরা দোষীদের বিচারের পাশাপাশি ভাইয়ের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে আবেদন জানাই।”
নিহতের বাবা এনামুল হক মাদবর বলেন, “আমি শুধু আমার ছেলের মুখটি একবারের জন্য দেখতে চাই। যেভাবেই হোক সরকার যেন আমার ছেলের লাশটি দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেয়।”
বিষয়টি নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও (ইউএনও) ইলোরা ইয়াসমিন বলেন, “আমরা বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। পরিবারের লোকজনের আবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”