বগুড়ায় টিকটকে নাচের ভিডিও প্রচার করায় মারুফা (২৫) নামের এক নারীকে হত্যার পর সেফটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রেখেছিল তার স্বামী। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওই নারীর স্বামী মুকুল মিয়াকে গ্রেপ্তার ও লাশ উদ্ধার করেছে।
মুকুল মিয়া বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়নের নুড়ুইল মধ্যপাড়ার মো. শাজাহান আলীর ছেলে। নিহত মোছা. মারুফা একই উপজেলার নারীপাড়া ইউনিয়নের নন্দীপাড়া পীরগাছা এলাকার মো. মাহবুবের মেয়ে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত ১৩ ডিসেম্বর শনিবার রাত ১০টার দিকে মারুফার চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচানাচি করে টিকটকে ভিডিও প্রচারকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। ওই সময় স্বামী মুকুল মিয়া তার স্ত্রী মারুফাকে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর প্রমাণ গোপন করতে ওই রাতেই নিজ বাড়ির সেফটিক ট্যাংঙ্কে লাশ ফেলে দিয়ে ট্যাংকের মুখে সিমেন্ট দিয়ে প্লাস্টার করে দেয় মুকুল। পরে সে তার পরিবারসহ নিহতের স্বজনদের জানায় যে, তার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। এর পাশাপাশি সে ঘটনার দুই দিন পর ১৫ ডিসেম্বর নিজেই বাদী হয়ে স্ত্রী নিখোঁজের অভিযোগ এনে বগুড়া সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মুকুল।
এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত শুরু করে। ডিবি, বগুড়ার ওসি ইকবাল বাহার ও পরিদর্শক মো. রাজু কামালের নেতৃত্বে একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মূল হোতা মুকুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ওসি ইকবাল বাহার বলেছেন, আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তার দেওয়া তথ্যের মারুফার লাশ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মুকুল মিয়াকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।