সারা বাংলা

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়িগ্রামে 

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দিনের তাপমাত্রা একটু উষ্ণ থাকলেও রাত নামলেই বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা ও কুয়াশার ঘনত্ব। তীব্র ঠান্ডায় হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।

রবিবার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

ভোর থেকেই কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌপথে চলাচলে অনেকটাই বিঘ্ন ঘটে। শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ ও নিম্নআয়ের পরিবারগুলো। অনেকেই প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে কাজে যেতে পারেননি।

স্থানীয়রা জানান, শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে । জেলার বিভিন্ন এলাকায় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্রের চাহিদা বাড়লেও পর্যাপ্ত সহায়তা এখনো পৌঁছায়নি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার দিনমজুর জামাল মিয়া জানান, শনিবার সকালে ঘন কুয়াশার কারণে জমিতে কাজ করতে কষ্ট হয়েছে তারা। হাত-পা অবশ হয়ে আসছিল। শীতের তীব্রতা আগের চেয়ে বেড়েছে।

চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র পাড়ের মমিন মিয়া বলেন, “আমরা নদী পাড়ের মানুষ। প্রতি বছর গরম কাপড়ের অভাবে ঠান্ডায় কষ্ট ভোগ করি। এবারো ঠান্ডা অনেক বেড়েছ। এখনই থাকা যায় না। আরো ঠান্ডায় পরিবার নিয়ে বিপদে পড়তে হবে।” 

জেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, সকালে কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বাংলাদেশের সর্বনিম্ন। আগামী কয়েকদিন শীত ও কুয়াশার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং একটু মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, শীত নিবারণের জন্য ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা ইতোমধ্যে ৯ উপজেলায় ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এসব কম্বল পর্যায়ক্রমে বিতরণ কাজ চলছে।