ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনে ৫ হাজার ১৩৩টি ভোট কেন্দ্র আছে। এর মধ্যে ৭৯৬টি কেন্দ্রকে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। কেন্দ্রগুলো ঝুঁকিমুক্ত করতে কাজ করছে বিভাগীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারি দপ্তরগুলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১ হাজার ৮৫১টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি কেন্দ্রগুলো সাধারণ শ্রেণিভুক্ত।
খুলনা রেঞ্জ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় থানা ও গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ তালিকা করা হয়েছে।
পুলিশের খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অপারেশনস) শেখ জয়নুদ্দিন জানিয়েছেন, থানা ও গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়নের ভিত্তিতে ভোট কেন্দ্রগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো—অতি গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ।
তিনি আরো বলেন, ভোটারদের অধিকার সুরক্ষায় পুলিশ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এ লক্ষ্যে পুলিশের জন্য ২৮টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ২০টি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
৩৬টি আসনের মধ্যে দুটি খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এলাকায়। সেগুলো হল: খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) ও খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খান জাহান আলী-আড়ংঘাটা)। এই দুটি আসনে মোট ৩০৯টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৭৯টি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত। অর্থাৎ সেখানে ৬৭ শতাংশ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নগরীর ভোট কেন্দ্রগুলোর ঝুঁকি আগে-ভাগেই মূল্যায়ন করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে পরিদর্শনের পর ৮টি মহানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা গত মাসে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) ত. ম. রোকনুজ্জামান বলেছেন, ভোট কেন্দ্রের ঝুঁকি নির্ধারণে আগের সহিংসতার ঘটনা, ভোট স্থগিতের ইতিহাস, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বাসার কাছাকাছি অবস্থান, কেন্দ্রের দুর্গমতা, সীমানা নিরাপত্তা, যাতায়াতের সুবিধা এবং পালানোর সুযোগ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের বলেছেন, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেছেন, ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে পুলিশ সব সময় সতর্ক আছে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা কয়েক মাস ধরেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ভোটের আগে সব কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ সদস্যদের কাছেও ক্যামেরা থাকবে।