বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থেকে অস্ত্রের মুখে পিন্টু আকন্দ (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) মধ্যরাত ৩টার দিকে আদমদীঘি উপজেলার কুমাড়পাড়া এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
ব্যবসায়ীকে তুলে নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ কয়েকজনকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, একই দিন রাত ৯টার দিকে উপজেলার সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘লোটো’ জুতার শোরুম তাকে অস্ত্রের মুখে পিন্টু আকন্দকে টেনেহিঁচড়ে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
নিহত পিন্টু আকন্দ ওই শোরুমের স্বত্বাধিকারী এবং নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার বাসিন্দা।
ব্যবসায়ীকে অপহরণের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, রাত ৯টা ৮ মিনিট নাগাদ একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস লোটে শোরুমের সামনে এসে থামে। পরে গাড়িটি থেকে কয়েকজন নামে। তাদের মধ্যে একজন শোরুমটির ভেতরে ঢুকে ব্যবসায়ী পিন্টু আকন্দকে অস্ত্রের মুখে টেনেহিঁচড়ে বাইরে বের করে আনেন। পরে বাইরে থাকা অন্য সন্ত্রাসীরা তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে দ্রুত গতিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
অপহৃতের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, “পিন্টুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।”
তিনি বলেন, “মাইক্রোবাসসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ চলছে। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা এখনো জানা যায়নি।”