সারা বাংলা

সড়ক ধসে বড় গর্ত, বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা

ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া ইউনিয়নের তালেপুর জোড়া ব্রিজ সংলগ্ন মূল সড়কের পাশে একটি বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দুই মাস আগে গর্তটি তৈরি হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে এ স্থানে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যস্ত সড়কের একেবারে পাশে গভীর ও প্রশস্ত গর্তটি অবস্থান হওয়ায় পথচারী, মোটরসাইকেল আরোহীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরো বেড়ে যাচ্ছে।

এলাকাবাসী জানান, দিন দিন গর্তটির পরিধি বড় হচ্ছে এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এরইমধ্যে কয়েকটি ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটেছে। দ্রুত মেরামত না করা হলে মূল সড়কের বড় একটি অংশ ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান বলেন, “দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে রাস্তাটিতে এই বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি বলেই মনে হচ্ছে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে স্কুলগামী শিশু, বয়স্ক মানুষসহ অসংখ্য পথচারী চলাচল করে। গর্তটি খোলা অবস্থায় থাকায় সবাইকে চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এটি খুবই উদ্বেগজনক।”

স্থানীয় বাসিন্দা অপু মিয়া বলেন, “আমার দোকানের ঠিক পাশেই গর্তটির অবস্থান। এক সপ্তাহ আগে রাতের বেলায় একটি আলুবোঝাই ট্রাক এই গর্তের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ওই ঘটনায় প্রাণহানি না ঘটলেও গুরুতর চোট পেয়েছেন ভুক্তভোগীরা। গর্তটি দিন দিন আরো বড় ও গভীর হয়ে উঠছে। এতে ঝুঁকিও বাড়ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় এখানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”

মো. জামিল হাসান বলেন, “মূল সড়কের পাশের একটি অংশ ভেঙে পড়ার কারণেই এই ভয়াবহ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো- এই জায়গার নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন রয়েছে। যদি গর্তটি আরো বড় হয় বা কোনো ভারী যানবাহনের চাপে ধসে পড়ে, তাহলে যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। আমরা দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও স্থায়ী সমাধান চাই।”

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমি নিজে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সড়কের পাশের গর্তটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, তাই খুব দ্রুত এর স্থায়ী সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”