লালমনিরহাটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা সমাবেশে যোগ দিতে ‘বিশেষ ট্রেন’ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে রেলপথ অবরোধ তুলে নিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা রেললাইন অবরোধ করে রাখার পর রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল ৩টায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। অবরোধকালে লালমনিরহাটের সঙ্গে ঢাকা, রংপুর ও বুড়িমারীসহ সব রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
আজ সকাল ৮টা থেকে বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘লালমনিরহাটের সর্বস্তরের জনগণের’ ব্যানারে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নেন। তারা রেললাইনের ওপর বসে পড়ে তারেক রহমানের নামে স্লোগান দিতে থাকেন এবং ঢাকা গিয়ে সংবর্ধনা সমাবেশে অংশ নিতে বিশেষ ট্রেন দাবি করেন।
এই আকস্মিক অবরোধের ফলে লালমনিরহাট স্টেশনে আটকা পড়ে আন্তঃনগরসহ বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। দীর্ঘ সময় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় শত শত যাত্রীকে স্টেশনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেকে বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।
আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের ভাষ্য, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে ঢাকার ঐতিহাসিক সমাবেশে লালমনিরহাট থেকে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ অংশ নিতে চায়। সাধারণ যানবাহন বা নিয়মিত ট্রেনে এই বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর যাতায়াত অসম্ভব। এ কারণে তারা একটি ‘স্পেশাল ট্রেন’ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা যুবদলের সদস্য সচিব হাসান আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমাদের নেতা তারেক রহমানের দেশে ফেরা লালমনিরহাটের মানুষের কাছে এক আবেগের দিন। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রস্তুত। আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ ট্রেনের দাবি জানিয়েছি যাতে সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে যাতায়াত করতে পারেন। আমাদের দাবি যৌক্তিক।’’
‘‘রেল কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করায় অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছি,’’ বলেন তিনি।
এ সময় রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন। রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দাবিটি ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে আলোচনা করে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের আশ্বাস দেওয়া হলে বিকেল ৩টায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এরপর সিগন্যাল ক্লিয়ার হলে আটকা পড়া ট্রেনগুলো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে শুরু করে।
এ ঘটনার পর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।