সারা বাংলা

কুয়াকাটায় ৩ লাখ পর্যটক আগমনের আশা, নতুন সাজে হোটেল-মোটেল

সরকারি ছুটিতে লাখ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটে পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায়। এবারো এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বড়দিনসহ তিন দিনের সরকারি ছুটিতে কুয়াকাটায় তিন লাখ পর্যটক আগমনের আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের বরণে ধুয়ে-মুছে নতুন করে সাজানো হয়েছে হোটেল-মোটেল।

হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে অধিকাংশ হোটেল-মোটেলের কক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল থেকেই পর্যটকরা আসতে শুরু করবেন।

কুয়াকাটা সৈকতের ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্স সংলগ্ন আচার ও কসমেটিক্স বিক্রেতা সুলতান বলেন, “মৌসুমের শুরুতে এবার কুয়াকাটায় তেমন পর্যটক ছিল না। এবারের তিন দিনের ছুটিতে আমরা কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটক আগমনের আশা করছি। তাই দোকানে কিছু নতুন পণ্য তুলেছি। এগুলো বিক্রি করতে পারলে আশা করছি, আমরা পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব।” 

প্রেস ক্লাব সংলগ্ন আবাসিক হোটেল ফ্রেন্ডস পার্কের স্বত্বাধিকারী আরিফ সুমন বলেন, “আমরা পর্যটকদের সাড়া পাচ্ছি। হোটেল-মোটেল ধুয়ে মুছে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের হোটেলের ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। আশা করছি, বিকেলের মধ্যে সব কক্ষ বুকিং হবে।”

ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটা (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়ক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, “পর্যটকরা আসতে শুরু করছেন। আমরা তিন দিনের ছুটিতে অন্তত তিন লাখ পর্যটক আগমনের আশা করছি। হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সব ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠান নতুন করে সাজিয়েছেন পর্যটকদের বরণে। আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত আছি।” 

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “এবার ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের আগমন ঘটবে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বাড়তি পুলিশ থাকবে। ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল থাকবে। আশা করছি, পর্যটকরা নিরাপদে তাদের ভ্রমন উপভোগ করতে পারবেন।”