সারা বাংলা

টাঙ্গাইল-২ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে নির্বাচন জমে উঠেছে। প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। ভোটাররা নানা দাবি তুলছেন প্রার্থীদের কাছে, আর প্রার্থীরাও দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। এ দিকে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) পর্যন্ত টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ছাড়া জামায়াতে ইসলাম বা অন্য কোন দল অথবা স্বতন্ত্র থেকেও কোন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেননি এছাড়াও, শুধু এ আসন নয়, জেলা ও সারাদেশেই আব্দুস সালাম পিন্টুর জনপ্রিয়তা রয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুস সালাম পিন্টু জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও, তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২১শে আগস্ট ২০০৪ গ্রেনেড হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকায়, ঐ মামলায় ২০০৮ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে তখন থেকেই তিনি কারাগারেই ছিলেন। প্রায় ১৭ বছর পর ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। এর আগে ২০১৬ সালে কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তিনি বিএনপি'র নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার ছোট ভাই কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২১ ডিসেম্বর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-–ভূঞাপুর) আসনে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু এবং টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে তার ছোট ভাই কেন্দ্রীয় বিএনপি'র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী এলাকার রমজান আলী মিয়া ও গোপালপুরের পাথাইলকান্দি এলাকার সবুর শেখসহ কয়েক জন সাধারণ ভোটার বলেন, “আব্দুস সালাম পিন্টু গোপালপুর ও ভূঞাপুরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। শিক্ষা থেকে চিকিৎসাসহ সকল ক্ষেত্রে তার ও তার দলের অবদান রয়েছে। যে কারণে তিনি দীর্ঘদিন কারাভোগ করার পরও তার জনপ্রিয়তা কমেনি। তার ভালোবাসার কারণে জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলার সেক্রেটারি মাওলানা মো। হুমায়ুন কবীর বলেন, “কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পত্র তোলার এখন নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করবো।”

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু বলেন, “আমার জন্মের পর থেকেই ভূঞাপুর গোপালপুরের মানুষের সাথে আমি চলাফেরা করছি। তাদের সুখ ও দুঃখের সময় আমি পাশে ছিলাম, আছি ও ভবিষ্যতেও থাকবো। ১৭ বছর কারাভোগের পর আমার প্রতি তাদের আরো সহানুভূতি বাড়ছে। যে এলাকাতেই যাচ্ছি, ভালো সাড়া পাচ্ছি। অনেকেই মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে দিচ্ছেন।”

তিনি আরো বলেন, “বিএনপিতে কোন কোন্দল নেই। এ আসনে আগে থেকে দলের নেতাকর্মীরা একক ভাবে আমাকে সমর্থন করেন। যে কারনে এ বছরও আমাকে এককভাবে সমর্থন দেয়ায় নেতাকর্মী ও বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞ। এ আসনের জনগণের মধ্যে স্বতস্ফূর্ততা রয়েছে। আমার বিশ্বাস যারাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন, তারাই আমাকে ভোট দিবেন। এ আসন থেকে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হলে, ধানের শীষের জোয়ারের কাছে তারা ভেসে যাবে।”