গুলিবিদ্ধ এনসিপির সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির খুলনা বিভাগীয় প্রধান মোতালেব শিকদারের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘‘গত সোমবার আহত হওয়ার পর মোতালেব পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু, এখন সে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ভান করছে। পুলিশ দেখলেই বোবা হয়ে যাচ্ছে। ইশারা ও অঙ্গভঙ্গি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছে। কোনো কথা জিজ্ঞেস করলে কলম দিয়ে আঁকাবাঁকা কী সব খাতায় লিখে দিচ্ছে, আমরা বুঝতে পারছি না। সুস্থ হওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মোতালেব শিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘মোতালেব শিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলা সোনাডাঙ্গা থানা থেকে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া, এ মামলায় গ্রেপ্তার যুবশক্তি নেত্রী তানিয়া তন্বীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তন্বী নিজেকে দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা দাবি করেছেন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তবে, এখনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘ঘটনার দিন ওই ফ্ল্যাট এবং আশপাশে মোতালেব শিকদার, তন্বী এবং তার স্বামী তানভীর শেখসহ ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে একটি শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিত থাকার বিষয়ে তথ্য পেয়েছি। মাদক ও চাঁদাবাজির ভাগ-বাটোয়ারার বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী এবং তার স্বামী তানভীর শেখ নিয়মিত মাদক সেবন করতেন।’’
গত সোমবার মোতালেব শিকদারকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মোতালেবের স্ত্রী রহিমা আক্তার ফাহিমা খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় জেলা ‘জাতীয় যুবশক্তির’ যুগ্ম সদস্য সচিব তনিমা ওরফে তন্বীকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করেছেন।