আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশ আর কখনো আধিপত্যবাদী ও সন্ত্রাসবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করবে না। তোমাদের কত বুলেট আছে, কত শেখ হাসিনা আছে আমরা দেখতে চাই। শেখ হাসিনা গুম-খুনের রাজনীতি করে দীর্ঘ শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু মানুষ যেদিন জেগে উঠেছে সেদিন ১৫ মিনিটও সময় পায়নি পালানোর জন্য।’’
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের কিং কমিউনিটি সেন্টারে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট আয়োজিত ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে শোক ও সংহতি সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফ্যাসিবাদ আর ফিরতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘‘যেকোনো মোড়কে ফ্যাসিবাদকে আর আসতে দেওয়া হবে না। ভোটে জিতলেই সব করতে পারবেন এমন না। যারা নির্বাচিত হবেন তারা বিরোধী দলের পরামর্শে কমিটি করে কাজ করতে হবে। আমরা বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু কারো কারো সংবিধানের জন্য অনেক মায়া। অথচ সংবিধানের দোহাই দিয়ে যখন মানুষ হত্যা, আলেম-ওলামাদের হত্যা-নির্যাতন করা হয়েছিল; তখন জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন—এ সংবিধান ছুঁড়ে ফেলা হবে। তাহলে এখন কেন আপনারা সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন? কারণ আপনারা মনে করছেন ক্ষমতার খুব কাছে চলে এসেছেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘অনেকে বলে নির্বাচনে জিতলে এটা-সেটা করবে। কিন্তু, আমরা বলি এসবের দরকার নেই। সরকারে গেলে শুধু চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখল, ইভটিজিং, মব সন্ত্রাস বন্ধ করলেই চলবে। প্রশাসন, পুলিশ যদি সরকারি দলের হস্তক্ষেপ ছাড়া কাজ করতে পারে তাহলে অবশ্যই দেশে শান্তি ফিরবে।’’
মঞ্জু বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক জোট একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছে। আমাদের অনেকে বলে নতুন রাজনীতির খাওয়া নেই, রক্ত দেওয়া আর রাজনীতি এক না, আবার বলে ভোট করতে গেলে অনেক টাকা-মাস্তান লাগবে। যারা এ পুরনো রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে চান, তাদের বলব প্রয়োজনে নতুন বৃহত্তর রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হবে। এই বাইনারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। আগামীর নির্বাচন এ দেশকে পরিবর্তনের নির্বাচন। এ নির্বাচন আবু সাঈদ, শহীদ ওসমান হাদিদের মৃত্যুর বদলার নির্বাচন।’’