বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রবেশদ্বার গাবতলীতে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এদিকে দলের শীর্ষ নেতাকে স্বাগত জানাতে ঢাকার সাভার, ধামরাই থেকে রাজধানীর ৩০০ ফিটে নির্মিত অভ্যর্থনাস্থলে যাচ্ছেন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সরেজমিনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে নেতাকর্মীদের জটলা দেখা যায়।
বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, তারেক রহমান বীরের বেশে আসবে দেশে, এটা স্লোগান ঘিরে সারা দেশের মানুষের স্বপ্ন ছিল। সেটি বাস্তবায়ন করার জন্য তারেক রহমান দেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে, বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য তিনি আসছেন।
ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি বলেন, “ঈদ হলে যেমন অনুভূতি হয়, বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে তেমন অনুভূতি দেখা দিয়েছে। তাই সারা দেশের প্রান্তীক পর্যায় থেকে সকল স্তরের মানুষ তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের দিকে রওনা হয়েছেন। তারই অংশ হিসাবে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হয়েছে।”
এদিকে ঢাকার প্রবেশমুখ গাবতলিতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ঢাকাগামী লেনে চেকপোস্ট বসিয়েছে থানা পুলিশ। ঢাকার দিকে যাওয়া সন্দেহভাজন পরিবহন, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ সদস্যরা।
দারুসসালাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার মণ্ডল বলেন, “আজকে একটা বিশেষ দিন। আজকে হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মের বড়দিন। পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী দলের সম্মানিত ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তান করছেন। যে কারণে আমাদের পুরো ঢাকা শহর নিরাপত্তা বেষ্টনিতে আবদ্ধ আছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা দারুস সালাম থানা থেকে আমাদের ২৪ ঘণ্টা চেকপোস্ট কার্যক্রম এখানে চলমান রয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “এখানে আমরা মূলত সন্দেহভাজন কোনো লোকজন, পাশাপাশি মোটরসাইকেল, সিএনজি, প্রাইভেট কারসহ সকল গাড়ি চেকিংয়ের আওতায় আনছি। তাদের কাছ থেকে সন্দেহভাজন কোনো কিছু পেলে বা তাদের আচরণ কোনো সন্দেহভাজন মনে হলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।”