সারা বাংলা

স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন তারেক রহমান: তত্বাবধানে ঢাকা জেলা বিএনপি

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী বলেছেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ তাকে একনজর দেখতে এসে সম্মান জানাচ্ছে।” 

তিনি বলেন, “আমাদের দলের সংগ্রামী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাংলাদেশের নেতা, গণমানুষের নেতা। তিনি গণমানুষের জন্য রাজনীতি করেন, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর গতকাল তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছেন। দেশের আপামর জনগণ তাকে সম্মান জানাতে এবং এক পলক দেখার জন্য সারাদেশ থেকে সমবেত হয়েছেন।”

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন নিপুণ রায় চৌধুরী। 

এদিন বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও আত্মত্যাগকারীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এ উপলক্ষে দলের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে স্মৃতিসৌধের সামনে ও আশপাশের এলাকায় জড়ো হচ্ছেন।

নিপুণ রায় বলেন, “তারেক রহমান তার বক্তব্যে জানিয়েছেন, সকল শ্রেণিপেশার মানুষ, সকল ধর্ম ও মতের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একটি সুন্দর রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চান তিনি। সেখানে সবার অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, মানুষ তার স্বাধীনতা ফিরে পাবে এবং প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে নতুন করে বিনির্মাণ করা হবে।”

তিনি আরো বলেন, “শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করে তারেক রহমান প্রথমে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে যাবেন। এরপর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার স্মারক জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানাবেন।’’

এসময় দলের সাংগঠনিক প্রস্তুতির কথাও উল্লেখ করেন নিপুণ রায়। তিনি বলেন, “দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ দর্শনার্থীরা রাস্তার দুই পাশে অবস্থান করে নেতাকে স্বাগত জানাবেন। তারেক রহমানও তাদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দায়িত্বে থাকবেন। জেলা বিএনপি তত্ত্বাবধানে থাকবে। ঢাকা জেলার অন্তর্ভুক্ত ঢাকা-১, ঢাকা-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-১৯ এবং ঢাকা-২০ এই পাঁচটি আসনের প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।”

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে নিপুণ রায় বলেন, “বিএনপি শান্তির পথে এগোতে চায়। দেশে যে অস্থিরতা ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, তা মানুষের জীবনে সংকট ডেকে এনেছে। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির নেতা তারেক রহমান এমন এক বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেছেন, যেখানে একজন মা নিশ্চিন্তে তার সন্তানকে বাইরে পাঠাতে পারবেন এবং সে ভয়মুক্তভাবে ঘরে ফিরতে পারবে। এমন বাংলাদেশ হবে নিরাপদ, শান্তির, যেখানে সমঅধিকার, স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত থাকবে এবং জনগণই হবে প্রধান শক্তি।”

এসময় ঢাকা জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।