সারা বাংলা

পটুয়াখালীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা

পটুয়াখালীতে গত দুইদিন ধরে দুপুর পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। জেলার অনেক স্থানে দৃশ্যমানতা নেমে এসেছে ৫০ মিটারের নিচে। কুয়াশার কারণে জমে থাকা শিশিরে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে গেছে রাস্তাঘাট। দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে মহাসড়কে চলছে যানবাহন। 

এদিকে, জেলায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার কলাপাড়ায় সর্বনিম্ন ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস। শনিবার একই সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

তীব্র ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। লঞ্চসহ নৌ-পরিবহন শ্রমিকরাও চরম বিপাকে। উষ্ণতা পেতে খড়কুটো, শুকনো পাতা ও কাঠে আগুন জ্বালিয়ে তাপ পোহাতে দেখা দেখে তাদের। ভোর ও গভীর রাতে কনকনে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে সড়কের পাশে, বাজারের মোড়ে কিংবা খোলা জায়গায় এভাবে আগুন জ্বালাতে দেখা গেছে অনেককে। 

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, টাইফয়েড ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। অনেকেই হাসপাতালে সিট না পেয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন মেঝে কিংবা করিডরে।

কলাপাড়া পৌর শহরের লঞ্চঘাট এলাকার শ্রমিক স্বপন মিয়া বলেন, “আজ ঘন কুয়াশা এবং প্রচণ্ড শীত রয়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতোই কুয়াশা পড়ছে। তারপরও পেটের দায়ে কাজে এসেছি। ঘন কুয়াশার কারণে লঞ্চ এখনো আসেনি। যে কারণে ঘাটে বসে অলস সময় কাটাচ্চি।” 

কলাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার ভ্যানচালক জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, “প্রচণ্ড শীত আর কুয়াশা। ভোর থেকে অনেক জায়গায় সামান্য দূরের জিনিস দেখা যায় না। রিকশা টান দিলে মনে হয় শীত শরীরের মধ্যে ঢুকছে। রোদ না উঠলে আর রিকশা চালানো যাবে না।”

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, “শীত এবং কুয়াশার তীব্রতা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানুয়ারির শুরুতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।”