সারা বাংলা

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ

শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরের পর থেকে নতুনব্রীজ এলাকায় অবস্থান নেন তারা। দুপুর দেড়টার দিকে নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। 

অবরোধে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা ওসমান হাদির হত্যাকারীদের অবিলম্বের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান। এ সময় তারা- ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘যদি চাও মুক্তি, ছাড়ো ভারত প্রীতি’, ‘সাইদ থেকে হাদি, আজাদী আজাদী’, ‘হাদি হত্যার বিচার চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’ এবং ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ইনকিলাব মঞ্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক রাফসান রাকিব বলেন, “ওসমান হাদি হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। কেন্দ্র থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।”

অবরোধের ফলে চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রাম অভিমুখী তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্ঠা করা হচ্ছে। 

গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ওই রাতেই সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ওসমান হাদি মারা যান।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হিমঘরে নেওয়া হয়। 

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধের পাশে সমায়িত করা হয়।