সারা বাংলা

হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বন্ধ রয়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ সব ধরনের কার্যক্রম। তবে, স্বাভাবিক রয়েছে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার। হিলি কাস্টমস সুপার এম আর বাঁধন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন 

তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ কারণে আজ এই বন্দরে ভারতের সঙ্গে সব প্রকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক হবে।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। 

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় ‘দেশনেত্রী’, ‘আপসহীন’ উপাধিতে ভূষিত বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বেগম খালেদা জিয়া লিভার, কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আথ্রাইটিস ও ইনফেকশনজনিত সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। 

চলতি বছর ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে তার স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি ঘটে। তিনি দেশে ফিরে আসেন। তবে বয়স প্রতিকূল থাকায় এবং নানাবিধ রোগের জটিলতার কারণে তিনি প্রায়ই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তেন। 

সর্বশেষ গত ২৩ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল, তিনি পূর্বের ন্যায় এবারো কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে চিরদিনের মতো না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার দুপুর ২টায় বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাকে তার স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাশে দাফন করা হবে।