বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার গুলশানে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
জানা যায়, ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে মাহমুদুল হাসান জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি ১৯৫৬ সালে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৯ সালের ১৩ জুন তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত হয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে যোগদান করেন। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। মাহমুদুল হাসান মেজর জেনারেল হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন।
তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টি থেকে ১৯৮৮ সালে। এরপর ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে তিনি সংসদ সদস্য হন।
তিনি ১৯৮৯-১৯৯০ পর্যন্ত জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৮৯ সালে টাঙ্গাইলে ‘মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজ’ প্রতিষ্ঠাতা করেন।